বিজ্ঞান ও ইসলাম কি পরস্পর প্রতিপক্ষ? (পর্ব ১ )
[এই লেখা টি আগস্ট মাসে নিয়ন বাতি থেকে প্রকাশিত হয় 2020 সালে এবং । 2020 সালের পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত এর কিছুটা সংশোধন করা হয়েছে।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু।আশা করি সবাই ভাল আছেন । আসলে অনেকে না জেনে বিজ্ঞান ও ধর্মকে এক চোখে দেখেনা ছাদে যে দুইটি আলাদা।এরা পরস্পর এক নয়। এ থেকে কেউ বিজ্ঞান ও ধর্মকে বিভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করে। তার মানে বুঝায় বিজ্ঞান ও ধর্ম যেকোনো একটি বেছে নেয়
ইসলাম নিয়ে অনেকের ধারণা এমন টাই।আবার যারা কিছু পরিমাণ ইসলাম চর্চা করে থাকেন এমন অনেকের মধ্যেও এরকম ধারণা পরিলক্ষিত করা যায়। বুঝায় যে বিজ্ঞান থাকবে বিজ্ঞানের স্থানে ইসলাম থাকবে ইসলামের স্থানে।বিজ্ঞান আর ইসলাম দুটিকে কখনো একত্র করা যাবে না। সাধারণত ব্যক্তিগত জীবনে একজন মানুষ নামাজ সেরকম ইবাদত পালন করতে পারে কিন্তু বিজ্ঞান এর কথা ইসলামে যাচাই করা যাবেনা।
আবার কিছু কিছু বিষয় ইসলাম ও বিজ্ঞান আলাদা কথা বলে তাহলে তখন আমাদের মনোভাব কি রকম হওয়া উচিত।
ইসলাম হলো একটি পুর্ণাঙ্গ দ্বীন।
ধর্ম বলতে আমরা বুঝি একজন সৃষ্টির কত থাকবে সব সময় তার এবাদত বন্দেগী করতে হবে তার আদেশ ও হুকুম পালন করতে হবে আমরা এটাই বুঝি । ক্ষেত্রবিশেষে এ সংখ্যাটি ধর্ম বোঝায় কিন্তু এর থেকেও ইসলাম অনেক বেশি।
![]() |
বিজ্ঞান ও ইসলাম কি পরস্পর প্রতিপক্ষ? |
ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পন। একজন মুসলমান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতাআলা ছাড়া অন্য কারো কাছে নিজেকে আত্মসমর্পণ করেন না এবং এবং আল্লাহর দেওয়া বিধান অনুযায়ী চলে। একমাত্র ইসলামই আল্লাহ তাআলার মনোনীত দ্বীন। মানুষের জীবনের পরিপূর্ন জীবন ব্যবস্থা একমাত্র ইসলামে রয়েছে।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে যাব মসজিদে আবার নামায শেষ করার পর আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নেশাদ্রব্য নিয়ে পড়ে থাকবো এটা ইসলাম ধর্ম নয়। ইসলামে প্রতিটি কাজের দিক নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে তাই সকাল থেকে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত সমস্ত কাজ ইসলামের ভিতরে রয়েছে। হোক সেটা সালাত দিনমজুরের কাজ জ্ঞানচর্চা প্রতিটি কাজেই আল্লাহর জন্য।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,,,
বিজ্ঞান বলতে কি বুঝায়
বাংলা ভাষায় আমরা বুঝি বিজ্ঞান অর্থ বিশেষ কোনো জ্ঞান আবার ইংরেজি ভাষায় এটাকে সাইন্স বলে ল্যাটিন ভাষায় যাকে scientia বলে, যার অর্থ দাঁড়ায় জ্ঞান। তবে হ্যাঁ সব ধরনের জ্ঞান আবার বিজ্ঞান নয়, আবার সব জ্ঞানকে বিজ্ঞানের আওতাভুক্ত বিবেচনা করা হয়ে থাকে তা নিয়ে রয়েছে অনেক জায়গায় বিভিন্ন মত,যা স্বাভাবিক।
☺️
বর্তমানে কোন বিষয় পরীক্ষা ও গবেষনা এর উপর অর্জিত যুক্তিযুক্ত জ্ঞানকে সাধারণত বলে বিজ্ঞান বলে থাকি। Wikipedia সংজ্ঞা অনুযায়ী বিজ্ঞান হল :- বিজ্ঞান হল একটি পদ্ধতিগত উদ্যোগ যা মহাবিশ্ব সম্পর্কে পরীক্ষাযোগ্য ব্যাখ্যা এবং ভবিষ্যদ্বাণীর আকারে জ্ঞান তৈরি করে এবং সংগঠিত করে।"
আমরা যদি ঊইকিপিডিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহন করি তাহলে বিজ্ঞানকে প্রমাণিত বিষয় ভিতরে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না বিভিন্ন হাই পেডিকসন বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত হবে।
বর্তমানে ব্ল্যাক হোল এর অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়েছে। আমরা বেশ কিছুদিন আগে ছবি পেয়েছি ব্ল্যাকহোলের। কিন্তু সর্বপ্রথম আইনস্টাইন আপেক্ষিক তত্ত্ব থেকে ব্ল্যাকহোলের ধারণা করা হয়েছিল তখন কিন্তু এটি প্রমাণ হয়নি বা ছিল না।
মানুষের বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা ও পরিবর্তনশীলতা
বিজ্ঞান মূলত বেশকিছু সাপেক্ষে মানুষের অর্জন করা জ্ঞানের সংগ্রহশালা এজন্য মানুষের ভেতরে সীমাবদ্ধতাগুলো বিজ্ঞানের জন্য প্রযোজ্য। মহাবিশ্বে কোটি কোটি রহস্য লুকিয়ে থাকে আমরা তার এটা রে খুব অল্প পরিমাণ জানি।।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন:
আল্লাহ রব্বুল আলামিন সম্পূর্ণ স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন এই আয়াতে আল্লাহ সকল বিষয়ে জানেন।।অপরদিকে মানুষ শুধুমাত্র সেই গিয়ান অর্জন করে আল্লাহ তাআলা যতোটুকু চায়।
মানুষের ভেতরে জ্ঞানের এই সীমাবদ্ধতা বিজ্ঞান সম্পূর্ণরূপে শিকার করে। কোয়ান্টাম মেকানিক্স থেকে আমরা যতটুকু জানতে পারি প্রকৃতি যতসব রহস্য রয়েছে আমরা কখনোই জানতে পারব না। এমন একটা সময় আসবে অর্থাৎ বিজ্ঞানীরা আর কোন কিছুকে নির্দিষ্ট করে বলতে পারবে না এটা ঐরকম এটা এরকম হবে সামনে এরকম কিছু আছে।
দিন দিন আমরা হাজার হাজার নতুন তথ্য জানতে চাই আমাদের জ্ঞানের পরিধি একটু একটু করে পারতেছি সাথে বিজ্ঞান ও অনেক আধুনিক হচ্ছে। বিজ্ঞানের বিগত সব ধারণা গুলো ভুল প্রমাণিত হচ্ছে আবার নতুন ধারণা বাহির হচ্ছে।। আবার হয়তো সেগুলো বদলে যাচ্ছে।
১০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে জন্মগ্রহণ করেন টলেমি। তিনি বলেনঃ-
কিন্তু তার কথা বলার পরও কেউ কেউ দেখলেন যে আকাশের কিছু তারা গতিপথের দিকে তাকে তার বলা কথাটি মেলানো যাচ্ছে না। ষোড়শ শতকে নিকোলাস বলেন। সূর্য মূল কেন্দ্র পৃথিবী এবং গ্রহ গুলো এই সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরে।দেড় হাজার বছর যেটা বিজ্ঞান ছিল তা আজ বদলে গেল। আচ্ছা কেউ যদি পৃথিবী কেন্দ্রিক মডেল বিশ্বাস করে তাকে কি কখনো বিজ্ঞানমনস্ক বলা যাবে?
বিজ্ঞানী নিউটন বলেন আলো এক ধরনের কনা।আবার হাইগেন বলেন না আলো এক ধরনের তরঙ্গ যাহা ইহার মাধ্যমে বিচরণ করিয়া থাকে। আবার বিজ্ঞানী মাইকেলসন ও মরলে পরীক্ষা করেন এবং জানিয়ে দিলেন ইথার বলতে আদো কোন কিছু নেই। আবার ম্যাক্সওয়েল বলেন আলো তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ। যাহা মাধ্যম ছাড়া চলে। এভাবে প্রতিটি সময় সবকিছু পরিবর্তন হয়ে থাকে মানুষ নতুন কিছু জানার সাথে সাথেই যেটা বদলে যেতে থাকে।
বিশ্বজগতের যে খান থেকে পৃথিবীতে আলো আসে তা হচ্ছে পৃথিবীর চারপাশ থেকে 4650 কোটি আলোকবর্ষ। এই অংশটুকু কে দৃশ্যমান মহাবিশ্ব বলা হয়। যত বড় টেলিস্কোপ হোক না কেন এর বাইরে মানুষের দেখার ক্ষমতা নেই।
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলা যতটুকু তৌফিক দিয়েছেন ততটুকু লিখেছি। লেখাটির বিষয়বস্তু সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করেছে। তারপরও যদি কোন ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে মহামহিম রবের জন্য আমাকে ক্ষমা করে দিবেন । লেখাটিতে যদি কোন ভুলভ্রান্তি চোখে পড়ে তাহলে আমাকে জানাবেন আমি সংশোধন করে দিব ইনশাআল্লাহ।
[বি.দ্র. লেখাটি আমি ট্রিকবিডি থেকে নিয়েছি অতএব নিচের ট্রিকবিডি লিংক দিয়ে রাখব আপনারা এখান থেকে সম্পূর্ণ লেখাটি দেখে আসতে পারেন। এখানে লেখার ধরন একটু আলাদা করে লেখা হয়েছে তবে মূলভাবের কোন পরিবর্তন করা হয়নি। এখানে এত বড় যে কয়েক পর্বে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে আশাকরি ধৈর্য সহকারে পড়বেন ]
একটি নিয়নবাতি পরিবেশনা।