মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় কি?
![]() |
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় কি? |
১.ইউটিউব ভিডিও তৈরী করে
২.ব্লগিং করে
৩.ফ্রিল্যান্সিং করে
৪.ফটোগ্রাফ বা ভিডিও বিক্রি করে
৫.রিসেলিং ব্যবসা করে
৬.মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে
৭.ইনভেস্টমেন্ট সাইট থেকে
৮.টাকা ইনকাম করার অ্যাপস দিয়ে
৯.ফেসবুক দিয়ে ইনকাম
ব্লগিং করে কিভাবে টাকা আয় করবেন
সর্বপ্রথম আপনাকে জানতে হবে ব্লগিং কি। মনে করেন আপনি দুইভাবে ব্লগিং করতে পারবেন। এক হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস অপরটি হচ্ছে ব্লগার সাইট। এখানে আপনি ফ্রি ওয়েবসাইট বানিয়ে নানা রকম টেকনোলজির বিষয় পোস্ট করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ওয়েবসাইট বানাতে হবে সেটি হচ্ছে ফ্রী। যদি বানাতে না পারেন তাহলে ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন কিভাবে সাইট বানাবো। ইউটিউব দেখে বানিয়ে নিন এবং বিভিন্ন রকম পোস্ট করতে থাকুন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার এডসেন্স পেয়ে যাবেন তারপর টাকা ইনকাম শুরু। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে
ইউটিউব এর ভিডিও তৈরি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে। সর্বপ্রথম একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলুন। একটি ইউনিক নাম দিন যেন সবাই চিনবে আপনাকে।আপনার মাথায় রাখতে হবে প্রতিদিন ইউটিউবে লক্ষ লক্ষ ভিডিও আপলোড হয় কিন্তু আপনাকে এমন ভিডিও বানাতে হবে যে ভিডিওটা অন্য কেউ বানাইনি। দেখবেন দশটি ভিডিও আপলোড করার পর আপনার ভিডিও রাংক করেছে।তবে মনে রাখতে হবে আপনার ভিডিও যেন ইউনিক হয় । এভাবে খুব সহজে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেলে গুগল এডসেন্স যুক্ত হওয়ার এই প্রক্রিয়াটি ইউটিউব মনিটাইজেশন নামে পরিচিত। একটি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ হতে গেলে প্রয়োজন হয়ঃ
বিগত ৩৬৫ দিনে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম
মোট ১০০০ সাবস্ক্রাইবার
ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
বর্তমানে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার অনেক মাধ্যম রয়েছে। তার মধ্যে একটি ফ্রিল্যান্সিং। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষ লক্ষ মানুষ টাকা ইনকাম করে যাচ্ছে। বর্তমানে আপনি ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।এজন্য আপনাকে পেড কোর্স করতে হবে তাহলে আপনি খুব অল্প সময়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন।।অথবা ইউটিউবে ফ্রী হাজার হাজার ভিডিও রয়েছে সেগুলো দেখে শিখতে পারেন। তবে ফ্রী ভিডিও থেকে পেড কোর্স অনেক ভালো খুব তাড়াতাড়ি শেখা যায়। ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইন, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন,ওয়েব ডেভলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং ইত্যাদি আরও কোর্স করতে পারবেন।
ফটোগ্রাফি ও ভিডিও তৈরি করে
আপনি ভিডিও বিক্রি করতে পারবেন অর্থাৎ কারণ নির্দিষ্ট কোন ভিডিওর প্রয়োজন আপনি ওইভাবে ভিডিওটা ইডিট করে দিলেন এজন্য অবশ্যই আপনাকে একটা পেজ খুলতে হবে এবং পেজে পোস্ট করতে হবে যে আপনি ভিডিও এডিটিং করেন।অথবা ফটোগ্রাফি করতে পারেন বিভিন্ন বিভিন্ন রিসোর্ট সেখানে হাজার হাজার মানুষ আসে তাদের ছবি তুলে দিলেন এবং প্রতিচ্ছবি 20tk করে।নিলেন।
রিসেল ব্যবসাও করতে পারেন
অনেকেই আবার রেসুলটস অফ বোঝেনা। কিসের বলতে বুঝায় কোন পণ্য কোম্পানির কাছ থেকে আপনি নিয়ে আপনি আরেকজন কাকে বিক্রি করলেন এই মাঝখানে আপনি যে থাকলেন আপনি প্রোডাক্ট সেল করলে সহজভাবে কোন জিনিস কিনে বিক্রি করলেন । এমন অনেক হাজার হাজার ওয়েবসাইট আছে যেগুলা ওয়েবসাইট থেকে আপনি প্রোডাক্ট কেনে রিসেল করতে পারবেন।এ সম্পর্কে ইউটিউবে ভিডিও পাবেন।
মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে
মাইক্রোওয়ার্ক বলতে বোঝায় আপনি কোন কোম্পানির কাছে তাদের নিজস্ব অ্যাড অ্যাপস ভিডিও দেখা ইত্যাদি মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। মুল কথা হচ্ছে আপনি কোন সাইট থেকে ভিডিও দেখাও অথবা অ্যাড দেখা অথবা সফটওয়্যার ডাউনলোড ইত্যাদির মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
ইনভেস্টমেন্ট সাইট থেকে
অনেক অ্যাপস অথবা অনেক সাইট আছে যাদের কাছে কিছু ইনভেস্টমেন্ট করে মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এর মধ্যে কিছু জালিয়াতি সাইট আছে যারা মানুষের টাকা মেরে দেয় এজন্য ইনভেস্ট করার আগে ভালোমতো রিসার্চ করে নেবেন ইউটিউবে।
![]() |
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় |
বর্তমানে অ্যাপস দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় কিন্তু এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার হয়তো মাসে ১০০০ এরকম টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাহার বর্তমানে বেশিরভাগ অ্যাপস পেমেন্ট দিতে চায়না এই জন্য এপস ইনকাম করার আগে ইউটিউবে ভালোমতো রিসার্চ করে দেখবেন।।
ফেসবুক থেকে ইনকাম
আপনি ইচ্ছা হলে ফেসবুক থেকেও বর্তমানে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে একটি পেজ খুলতে হবে।
ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও রয়েছে মনিটাইজেশন সুবিধা। ফেসবুক পেজ মনেটাইজ করে পেজে পোস্ট করা ভিডিও থেকে আয় করা সম্ভব। ফেসবুক পেজ মনেটাইজ করতে প্রয়োজনঃ
গত ৬০ দিনের মধ্যে ৬০০,০০০ মিনিট ওয়াচ টাইম
সর্বনিম্ন ৫টি একটিভ ফেসবুক ভিডিও
১০ হাজার পেজ ফলোয়ার।