বজ্রপাতের উৎপত্তি ও এতো শব্দ কেনো হয়?

 বজ্রপাত মূলত বিদ্যুতের দ্রুত প্রবাহ যা সাধারণত মেঘের ভেতরে বা মেঘ থেকে মাটিতে সংঘটিত হয়। বজ্রপাত তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া সাধারণত নিম্নরূপ:

বজ্রপাত কেনো হয়
বজ্রপাত কেনো হয়


  1. মেঘের মধ্যে চার্জ বিভাজন: বজ্রপাতের আগে মেঘের ভেতরে তাপমাত্রা ও বায়ুর চাপের পরিবর্তন হয়, যা মেঘের কণা (বরফ ও জলবিন্দু) একে অপরের সাথে ঘর্ষণ করে চার্জ তৈরি করে। মেঘের ওপরের অংশে ধনাত্মক চার্জ এবং নিচের অংশে ঋণাত্মক চার্জ জমা হয়।

  2. বিরোধী চার্জ আকর্ষণ: মেঘের নিচের অংশে জমা হওয়া ঋণাত্মক চার্জ মাটির ধনাত্মক চার্জকে আকর্ষণ করে। এভাবে মেঘ এবং মাটির মধ্যে একটি বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি হয়।

  3. ইলেকট্রিক ডিসচার্জ (বিদ্যুৎ নির্গমন): যখন এই বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের শক্তি খুব বেশি হয়ে যায়, তখন মেঘের ঋণাত্মক চার্জ মাটির ধনাত্মক চার্জের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই মুহূর্তে বৈদ্যুতিক ডিসচার্জ ঘটে, যা আমরা বিদ্যুৎ চমক বা বজ্রপাত হিসেবে দেখি।

  4. বজ্রধ্বনি: বজ্রপাতের সময় প্রচণ্ড তাপমাত্রা সৃষ্টি হয়, যা বাতাসকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রসারিত করে এবং সংকুচিত করে। এর ফলেই বজ্রপাতের পরে বজ্রধ্বনি শোনা যায়।

এভাবে মেঘ ও মাটির মধ্যে চার্জ বিনিময়ের ফলেই বজ্রপাত ঘটে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url